করমর্দন নয় অঞ্জলি মুদ্রায় প্রণাম জানানো যে কারণে বিজ্ঞান সম্মত।
করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় বিশ্বজুড়ে করমর্দন এবং আলিঙ্গন বর্জন করা শুরু হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্স্ট সিহোফার এর সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করেছেন। করোনা আতঙ্কে মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী অভিবাদন রীতি করমর্দন করবেন না বলে জানিয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এখন থেকে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে দেখা করার সময় আলিঙ্গন বন্ধ হবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি অঞ্জলি মুদ্রায় নমস্তে দিয়েই এখন বিশ্ব নেতাদের অভিবাদন জানাবেন। এটি জীবাণু থেকে মুক্ত থাকার একটি নিখুঁত শুভেচ্ছা বিনিময় পদ্ধতি।
বুধবার (৪ মার্চ) করোনাভাইরাস নিয়ে রিভিউ মিটিংয়ের পর সংবাদ সম্মেলন করেন নেতানিয়াহু। সেখানে করোনা আটকাতে দেশবাসীর উদ্দেশে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন তিনি।
কিছু সহজ টিপসও দিয়েছেন। যেমন, করমর্দন এড়িয়ে চলার কথা। তার বদলে অভিবাদনের জন্য ভারতীয় পদ্ধতিতে হাত জোড় করে নমস্কার করার ওপরই আপাতত নির্ভর করতে বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
সেই বৈঠকে কীভাবে নমস্তে বা নমস্কার জানাতে হয় তাও করে দেখিয়েছেন তিনি। এছাড়া তিনি বলেছেন, ‘‘ইসরায়েলে করোনার সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন নীতিতেও পরিবর্তন আনছি ও সতর্ক নজর রাখছি।’’
কিছু সহজ টিপসও দিয়েছেন। যেমন, করমর্দন এড়িয়ে চলার কথা। তার বদলে অভিবাদনের জন্য ভারতীয় পদ্ধতিতে হাত জোড় করে নমস্কার করার ওপরই আপাতত নির্ভর করতে বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
সেই বৈঠকে কীভাবে নমস্তে বা নমস্কার জানাতে হয় তাও করে দেখিয়েছেন তিনি। এছাড়া তিনি বলেছেন, ‘‘ইসরায়েলে করোনার সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন নীতিতেও পরিবর্তন আনছি ও সতর্ক নজর রাখছি।’’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে জর্জ ডব্লিউ বুশ পর্যন্ত নমস্তেকে আভিবাদনের সঠিক পদ্ধতি বলে মেনে নিয়েছেন। এমনকি ট্রাম্প করমর্দনকে একটি বর্বর অনুশীলন বলে অভিহিত করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের কলাম লেখক মাউরিন দউড স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি যখন ট্রাম্পের সাক্ষাত্কার নিতে গিয়েছিলেন তখন তিনি ট্রাম্পের টেবিলে বড় একটি জীবাণুনাশক বোতল দেখেছিলেন। করমর্দনের পর তিনি এটা দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিয়েছিলেন।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) - এর কর্মীদের জন্য নমস্তেকে বিশ্বব্যাপী অভিবাদনের রীতি হিসেবে ছড়িয়ে দেওয়ার একটি দুর্দান্ত সুযোগ এনে দিয়েছে। নয়াদিল্লির সাংস্কৃতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে এটা নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করবে।
যতদূরই যাও, একদিন মূলে ফিরতেই হবে।