• সর্বশেষঃ

    জগতে ভাষার উৎপত্তি কিভাবে হয়েছিলো? ঋষিগণ কিভাবে বেদের জ্ঞান লাভ করলেন?

    #উত্তরঃ

    বৃহস্পতে প্রথমং বাচো অগ্রং যৎ প্রৈরত নামধেয়ং দধানাঃ।

    যদেষাং শ্রেষ্ঠাং যদরিপ্রমাসীৎপ্রেণা তদেষাং নিহিতং গুহাবিঃ।।

    (ঋঃ ১০/৭১/১)



    #শব্দার্থঃ (বৃহস্পতে) হে বেদাধিপতি! পরমাত্মা! (প্রথমম্) সর্বপ্রথম, সৃষ্টির শুরুতে (নামধেয়ম্) বিভিন্ন পদার্থের নামকরণের ইচ্ছা (দধানঃ) পোষণ করে আদি ঋষিগণ (যত্) যে (বাচঃ) বচন (প্রৈরত) উচ্চারণ করেছিলেন সেটাই বানীর (অগ্রম্) প্রথম প্রকাশ ছিলো। (যত্) যে ব্যক্তি (অরিপ্রম্) নির্দোষ, পাপরহিত (আসীত্) হয় (এষাম্) তার হৃদয়ে (নিহিতম্) নিহিত (তত্) সেই (প্রেণা) প্রেরণা এবং প্রেমের কারণ (আবিঃ) প্রকটিত হয়।



    #ভাবার্থঃ সৃষ্টির নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। মানুষের উৎপত্তিও হয়ে গেছে। সৃষ্ট পদার্থসমূহের নামকরণের ইচ্ছা জাগ্রত হওয়ায় ঈশ্বর ঋষিদের বেদজ্ঞান দিলেন, বেদের ভাষা শেখালেন। এই ছিলো বানীর প্রথম প্রকাশ।



    চার ঋষি এই বেদজ্ঞান লাভ করলেন। এই চারজনই বা কেনো? কারণ ঐ চারজন ছিলেন সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং নিষ্পাপ।



    ঈশ্বর সর্বব্যাপক। তিনি নিজের প্রেরণা এবং প্রাণীদের হিত কামনায়, প্রাণীদের সাথে প্রেমের কারণে বেদজ্ঞান প্রদান করেছিলেন।



    "তদেষাং নিহিতং গুহাবিঃ" – তাদের হৃদয়ে গচ্ছিত বেদের জ্ঞান আদি ঋষিগণ দ্বারা অন্য ঋষিদের জন্য প্রকট হয়েছিলো অর্থাৎ ঋষিগণ ঐ জ্ঞান অন্যদের শিক্ষা দিতেন।



    "যদেষাং শ্রেষ্ঠাং যদরিপ্রমাসীৎ" – যে জ্ঞান সর্বশ্রেষ্ঠ এবং দোষমুক্ত ছিলো, ভ্রমাদি রহিত ছিলো সে জ্ঞান এই ঋষিদের দেওয়া হয়েছলো।



    ।। নমস্তে ।।