ল্যাংটা বাবাদের সম্পর্কে সনাতন ধর্মের সিদ্ধান্ত কি?
মানব সভ্যতার শুরুতেই ঋষিরা জীবন পরিচালনার নির্দেশ স্বরূপ বেদকে দর্শন করেছিলেন পরমাত্মার সাথে নিজ আত্মাকে সংযুক্ত করার মাধ্যমে।
এই বেদই হচ্ছে সর্বোচ্চ প্রামাণ্য গ্রন্থ। বেদের সাথে কোনো গ্রন্থ বা কোনো আচার আচরণ সাংঘর্ষিক হলে ঐ গ্রন্থ (বা গ্রন্থের ঐ অংশ) এবং ঐসকল আচার আচরণ পরিত্যাজ্য বলে গণ্য হবে।
যেমন মনুস্মৃতিতে বলা হয়েছেঃ
যা বেদবাহ্যাঃ স্মৃতয়ো যাশ্চ কাশ্চ কুহষ্টয়ঃ।
সর্বাস্তা নিষ্ফলাঃ প্রেত্য তমোনিষ্ঠা হি তাং স্মৃতাঃ।।
(মনুস্মৃতি ১২।৯৫)
উত্পদ্যন্তে চ্যবন্তে চ যান্যতোন্যানি কানিচিত।
তান্যর্বাককালিকতয়া নিষ্ফলান্যনুতানি চ।।
(মনুস্মৃতি ১২।৯৬)
অর্থঃ
অর্থঃ
যে সকল স্মৃতি বেদবহির্ভূত, আর যে সকল শাস্ত্র বেদবিরুদ্ধ কুতর্কমূলক, সে সকল শাস্ত্র নিষ্ফল জানিবে, সেই সকল শাস্ত্র তমঃকল্পিত মাত্র। ৯৫
যে সকল শাস্ত্র বেদমূলক নয়, বরং পুরুষ-কল্পিত, কালক্রমে তারা উৎপন্ন হয় এবং বিনষ্ট হয়। আধুনিক এসব শাস্ত্রকে নিষ্ফল ও মিথ্যা বলে জানবে।৯৬
চলুন এখন বেদে কি বলে দেখে নেইঃ
য়ন্তে বাসঃ পরিধানম্ য়াম্ নীবিম্ কৃণুষে ত্বম্।
শিবম্ তে তন্বে তত্কৃণ্মঃ সম্স্পর্শে অদ্রুক্ষ্ণমস্তু তে।।
(অথর্বঃ ৮/২/১৬)
[হে মনুষ্য], শরীরকে আবৃত করার জন্য আপনি যে বস্ত্র পরিধান করেন এবং যে বস্ত্রকে আপনি কোমরের নিচে পরিধান করেন ঐ বস্ত্র আপনার শরীরের জন্য সুখদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর রূপে প্রদান করা হয়েছে। এই বস্ত্র ত্বককে রূক্ষ স্পর্শ থেকে রক্ষা করে।
বস্ত্র পরিধান করা একটা বৈদিক আচার। ল্যাংটা হয়ে ঘুরে বেড়ানোর কোনো নিয়ম প্রামাণ্য কোনো শাস্ত্রে পাওয়া যায়না।
এসব ল্যাংটা বাবাদের আসলে কোনো ধর্মীয় জ্ঞান নেই বললেই চলে। শুধু বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ালেই ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করা যায়না। তার জন্য দরকার বৈদিক ১৬ সংস্কারের শুদ্ধ ভাবে অনুসরণ।
আশাকরি এসব ল্যাংটা বাবাদের লাই দিয়ে মাথায় তুলবেন না। তাতে ধর্ম রক্ষা পাবেনা বরং ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
।।নমস্তে।।
@বৈদিক অর্য সমাজ