• সর্বশেষঃ

    রাম মন্দির আন্দোলনে ‘প্রথম শহিদ’, অযোধ্যার গলিতেই প্রাণ দিয়েছিলেন বাংলার দুই ভাই

    উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহর। ঘিঞ্জি গলি আর জরাজীর্ণ বাড়ি নিয়ে যেন এক টুকরো জীবন্ত ইতিহাস। খানিকটা দুলকি চালে চলা শহরটির বাসিন্দাদের তেমন তাড়া নেই। ‘চায় লাও’ বলে বসে পড়লেই হল। এহেন শহরে পা রেখে ‘শহিদ গলি’র ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে, একবাক্যে উত্তর তো পাবেনই, উপরি পাওনা হিসেবে মিলবে গল্পও। তবে এতো ভনিতা করার কারণ এই যে, ওই একফালি জায়গায় গেলে আজও শুনতে পাবেন ‘বঙ্গাল সে আয়ে থে দো ভাই। ইয়াহি গোলি মারি থি পুলিশনে।’

    গোটা ঘটনা খোলসা করে বলতে গেলে চলে যেতে হয় ১৯৯০ সালের ২ নভেম্বর। ওই দিনই বাবরি মজসিদ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে স্থিত হনুমান গড়ি মন্দিরের সামনে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার করসেবক। বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম রথ যাত্রার আবেদনে সাড়া দিয়ে রাম মন্দির নির্মাণের দাবি জানাতে জড়ো হয়েছিলেন করসেবকরা। তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কলকাতার বড়বাজার এলাকার দুই ভাই- রাম ও শরদ কোঠারি। তারপরই সেই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। জানা যায়, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের নির্দেশ ছিল যে কোনও মূল্যে যেন করসেবকদের আটকানো হয়। প্রয়োজনে গুলিও চালানোর নির্দেশ ছিল পুলিশকর্মীদের উপর। এদিকে, বাবরি মসজিদের দিকে ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছিলেন করসেবকরা। পুলিশ বাধা দিলে রাস্তায় বসে ভজন শুরু করেন তাঁরা। অভিযোগ, জায়গা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় নির্বিচারে করসেবকদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশবাহিনী। ওই ঘটনায় ১৬ করসেবক-সহ মৃত্যু হয় কোঠারি ভাইদেরও। বাকিটা ইতিহাস। রাম মন্দিরের জন্য প্রথম রক্ত দেয় বাংলার দুই সন্তান। তাঁদের সম্মানে ওই গলির নাম রাখা হয় শহিদ গলি।