• সর্বশেষঃ

    বেদ কেনো অধ্যয়ন করবো?

    #উত্তরঃ
    স্তুতা ময়া বরদা বেদমাতা প্রচোদয়ন্তং পাবমানী দ্বিজানাম্।
    আয়ুঃ প্রাণং প্রজ্ঞাং পশুং কীতি দ্রবিণং ব্রহ্মবর্চসম্।
    মহ্যং দত্ত্বা ব্রজন ব্রহ্মলোকম্।।
    (অথর্ব ১৯/৭১/১)

    #শব্দার্থঃ পরমাত্মা উপদেশ দিচ্ছেন — হে মনুষ্য! (বরদা) বরদান দাতা (বেদমাতা) বেদমাতা (ময়া স্তুতা) আমার দ্বারা উপদেশকৃত। এই বেদবাণী (পাবমানী) পবিত্র কারক। এই বেদমাতা (আয়ুঃ) দীর্ঘায়ু (প্রাণম্) জীবনীশক্তি (প্রজাম্) সুসন্তান (পশুম্) পশুধন (কীর্তিম্) যশ (দ্রবিনম্) ধন-ধান্য এবং (ব্রহ্মবর্চসম্) ব্রহ্মতেজ প্রদানকর্তা। বেদদের স্বাধ্যায় দ্বারা প্রাপ্ত এসব পদার্থ (মহ্যম্, দত্ত্বা) আমাকে অর্পণ করে (ব্রহ্মলোকম্) মোক্ষ (ব্রজত) প্রাপ্ত করো।

    #ভাবার্থঃ পরমাত্মা উপদেশ দিচ্ছেন — হে মনুষ্য! আমি তোমার কল্যাণার্থে বেদমাতাকে উপদেশ করেছি। এই বেদবাণী কর্মশীল মনুষ্যকে পবিত্র করে। যে ব্যক্তি বেদের অধ্যয়ন করে সেই অনুসারে আচরণ করবে সে ব্যক্তির জীবন পবিত্র, নির্দোষ এবং নিষ্পাপ তো হবেই, এর সাথে ঐ ব্যক্তি —
    ১। দীর্ঘায়ু লাভ করবে।
    ২। জীবনীশক্তি লাভ করবে।
    ৩। সুসন্তান প্রাপ্ত হবে।
    ৪। পশুধনের কমতি হবেনা।
    ৫। চতুর্দিকে তার কীর্তি–চন্দ্রিকা ছড়িয়ে পড়বে।
    ৬। ধন-ধান্য, ঐশ্বর্য এবং বৈভবের কোনো কমতি থাকবেনা।
    ৭। ব্রহ্মতেজ, জ্ঞান–বল নিরন্তর বাড়তে থাকবে।

    বেদাধ্যায়ন দ্বারা প্রাপ্ত এইসব বস্তু নিজ স্বার্থে ভোগ থেকে বিরত থাকো। এই সকল বস্তু ঈশ্বরে অর্পণ করে দাও, প্রজার হিতে ব্যায় করো, মানব কল্যানে ব্যায় করো। তবেই তোমার জীবনের চরম লক্ষ মোক্ষ প্রাপ্তি সম্ভব হবে।