• সর্বশেষঃ

    গীতায় কোথায় আছে গোহত্যা করা যাবেনা?


    উত্তরঃ গীতা ১৮/৪৪ঃ

    কৃষিগৌরক্ষ্যবাণিজ্যং বৈশ্যকর্ম স্বভাবজম্।

    পদার্থঃ কৃষিগৌরক্ষ্যবাণিজ্যং ( কৃষি, গোরক্ষা ও বানিজ্য ) বৈশ্য ( বৈশ্যের) স্বভাবজম্ ( স্বভাবজাত ) কর্ম ( কর্ম )। 


    সরলার্থঃ কৃষি, গোরক্ষা এবং বানিজ্য বৈশ্যের স্বভাবজাত কর্ম। 

    ব্যাখ্যাঃ প্রাচীন যুগে জন্মগত বর্ণবাদ ছিলোনা। বর্ণ নির্ধারণ হতো ব্যক্তিগত যোগ্যতার ভিত্তিতে। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্র এ চার বর্ণ নির্ধারণ হতো গুণ ও কর্মের উপর ভিত্তি করে। যার ভেতর যে গুণের আধিক্য ছিলো বা যে ব্যক্তি যে কাজে পারদর্শী হতো সে ব্যক্তি নিজ যোগ্যতায় তার কর্ম নির্ধারণ করতো। যেসকল ব্যক্তি তাদের পেশা হিসেবে কৃষিকাজ, পশুপালন বানিজ্য ইত্যাদি বেছে নিতো তারাই বৈশ্য। 

    এই বৈশ্যরা যেহেতু গো পালনের দায়িত্বে ছিলো সেহেতু গো রক্ষার দায়িত্বও তাদের উপরেই ছিলো। 

    এখান থেকে এ কথাটাও স্পষ্ট যে - গোহত্যা গীতায় স্পষ্ট ভাবেই নিষিদ্ধ।


    বেদে গোহত্যা নিষিদ্ধ হওয়ার ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে। কিন্তু অনেকেই গীতা থেকে প্রমাণ চান। তাদের উদ্দেশ্যেই এই পোস্ট।